যদি মনে করো যে আছি, তাহলে আছি, যদি মনে করো যে নাই, তাহলে নাই!
যদি মনে করো যে আছি, তাহলে আছি, যদি মনে করো যে নাই, তাহলে নাই!
শরৎশরীরী সফেদ শাড়ির নীল পাড়আমি এপার তুমি ওপাড়। প্রণাম তোমাকে, ভালো থেকো শরৎকালেবুঝিনা আমায় জড়ালে যে কোন্ মায়াজালে! শরৎ তুমি অশরীরী নয়—শরীরী হয়েই এসো,গোলাপ নয় হে কাশফুল হয়ে পাশে বসো। শরতেরও ব্রীড়া আছে কী এক ব্রীড়ায় মুখ লুকায় শরৎঅবশ্য ভাদ্রাশ্বিনের ক্লান্তি লগ্নে। তখন আমি হেমন্ত ফেরি; আমি তখন শরৎ খুঁজিনা। —আল মামুন, পাক্ষিক অনন্যা, ফেব্রুয়ারি […]
নদীর দু’কূলে দুই কাশের বাগান,মধ্যখানে ছুটে চলে মাঝির সাম্পান।হৃদয়ালু কাশবন খুব করে ডাকে—:একটু শাদায় শুদ্ধ হও এসে বাঁকে।:জীবন ঘোড়া ছুটছে সময়টা কই?জলের আমি জলেই, নীরবেই রই! আকাশে তাকিয়ে দেখি মেঘ খুব হাসে—:ওরে পাগল মাঝিরে, ঘুরিসনে ত্রাসেসময় থাকতে আয়, আমাদের গায়দেখবি কেমন হবে বাঁচার উপায়! —আল মামুন, ঘাসফড়িং, সমকাল, ২৮ আগস্ট ২০০৫
সেঁজুতিদের বাড়িটা ছিলো পূর্বমুখীআসা যাওয়ার পথে প্রতিদিন দেখিদরজার পাশে কালোমুখে বসে থাকেকখনো বুঝিনি সেঁজু আমাকেই দ্যাখে! সন্ধ্যা হলে দুয়ারেই থাকতো দাঁড়িয়ে,কথা বলতে চাইতো হাতটা বাড়িয়ে! কখনো বলা হয়নি সেঁজু মেয়েটিকে—তোমার চোখ কী খোঁজে আমি বুঝি সখি,তোমার মন-আকাশ কেনো আজ ফিকে?আমিও তোমায় খুঁজি, তা কি বোঝো সখি? —আল মামুন, দৈনিক জনকণ্ঠ, ৫ মে ২০০৬
পৃথিবীর সব ভূখণ্ড দখল হয়ে যায়এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে পড়েআকাশ-নদীও। নোম্যান্সল্যান্ড বলতে কিছুই থাকেনা। আমার যাবার কোনো পথ নেই; কোনো জায়গাই নেই আমার থাকার। —আল মামুন, দৈনিক জনতা, ৩০ অক্টোবর ২০১১