পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে স্কুলে পড়ার সময়ে যেই ছেলেটি সংবাদপত্র বিক্রি করতো, যোগ্যতাবলে তিনি এক সময় দেশের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন। প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ছিল না তাঁর, তবে সরকারি চাকরি করার সময় কঠোর পরিশ্রমী বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। তিনি যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, গতানুগতিক আনুষ্ঠানিক ভূমিকার বাইরে গিয়ে তরুণ এবং সাধারণ মানুষের প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। শিশুদের জন্য নির্দেশনামূলক কবিতার মাধ্যমে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছিলেন।
তিনি যেদিন মারা গেলেন সেদিনও কথা বলছিলেন শিশু ও তরুণদের উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য ছিলো একটাই— শিশু ও তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়তা করা। লক্ষ্য ছিলো ‘পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলা’। ওই দিন শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে শেষ টুইটে লেখেন— ‘শিলং যাচ্ছি… আইআইএম-এ ‘লিভেবল প্ল্যানেট আর্থ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিতে।’
সেই টুইটই শেষ টুইট। ফেরা হলো না আর। ‘যাচ্ছি’ বলে সেই যে গেলেন, আর ফিরলেন না! তাঁর এই চলে যাওয়া যে চিরতরে হবে তা কেইবা ভেবেছিল!
ভারতীয় ফাস্টপোস্ট পত্রিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছে— ‘ড. কালাম নিশ্চিতভাবেই সূর্য হয়ে জ্বলেছিলেন। কিন্তু সোমবার (যেদিন মারা যান) সন্ধ্যায় সেই সূর্য অস্ত গেছে। এ সূর্য আর কখনো উদিত হবে না।’
চলবে…